• E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন

×

পাইকগাছায় কেএইচবি মাধ্যঃ বালিকা বিদ্যালয় দু’কর্মচারী নিয়োগের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি

  • প্রকাশিত সময় : শুক্রবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১০৪ পড়েছেন

পাইকগাছার গড়ইখালী’র কেএইচবি মাধ্যঃ বালিকা বিদ্যালয়ে জালিয়াতি করে দু’কর্মচারীর নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
” দুর্নীতিবাজ হটাও,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাঁচাও”
এ শ্লোগানে এলাকাবাসী গত ১০ এপ্রিল বুধবার বেলা ১১ টায় স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে বিদ্যালয় মাঠে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেণ।
অবঃ প্রধান শিক্ষক মানষ কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাবেক নেতা রুহুল আমীন বিশ্বাস, বিদ্যালয় শিক্ষক প্রতিনিধি তাপস কুমার সানা,ইউপি সদস্য এসএম আয়ুব আলী, বি,এম শফি,প্রভাষক প্রদীপ কুমার মন্ডল, শিক্ষক লক্মীকান্ত সানা,উজ্জ্বল সানা,বিপ্লব সানা,সুজিত মন্ডল, ভোলানাথ মন্ডল, কৌশিক মন্ডল, নিয়োগ প্রত্যাশী সৌরভ,হিমাংশু, প্রীতমসহ অনেকে।
তবে, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ভিন্ন কথা বলছেন। এ দু’জন বলছেন, নিয়ম মেনে দু’কর্মচারী’র নিয়োগ হয়েছে এবং তারা বেতনও উত্তোলন করেছেন।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা অভিযোগ করেন, কুমখালী,হোগলারচক,বাইনবাড়ীয়া,মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে জালিয়াতি করে এক অফিস সহায়ক ও এক নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এলাকার বিশিষ্টজনরা, শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তি, স্কুল কমিটি সদস্য ও নিয়োগ প্রত্যাশীরা এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে অবৈধ নিয়োগ বাতিল করে পুনরায় নিয়োগ পরীক্ষার দাবি তুলছেন।
তাদের অভিযোগ গোপনে খুলনার ইকবাল নগর সরকারি স্কুলে নিযোগ পরীক্ষার নামে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তুষার কান্তি মন্ডলের ছেলে মলয় মন্ডলকে অফিস সহায়ক পদে ও হোগলারচকের সুপ্রভাত মন্ডলের ছেলে হিরণ মন্ডলকে নিরাপত্তা কর্মী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
নিয়োগ প্রত্যাশীদের মধ্যে স্থানীয় সৌরভ কবিরাজ,হিমাংশু ঢালী ও প্রিতম সানা জানান, ২৪/১/২৪ তারিখে অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা কর্মী পদে নিয়োগ পরীক্ষার কথা বলে চিঠি দেওয়া হয়। এদের অভিযোগ এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক পরীক্ষা আপাতত স্থগিতের কথা বলে বাড়ি-বাড়ী পৌছে সব চিঠিগুলো নিজের আয়ত্বে নেয় এবং পরবর্তীতে ব্যাক ডেটে নিয়োগ পরীক্ষা দেখান।
ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি তাপস কুমার সানা বলেন,গত ২৬ মার্চ পর্যন্ত জানি কোন নিয়োগ পরীক্ষা হয়নি। অথচ এখন দেখছি নতূন নিয়োগ প্রাপ্ত দু’কর্মচারী মার্চ মাসের বেতন উত্তোলন করেছেন।
কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়ে সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাবেক নেতা রুহুল আমীন বিশ্বাস বলেন, সভাপতির ছেলের নিয়োগ হোক সেটা ভালো কথা,কিন্তু ষড়যন্ত্র করে গোপনে হবে কেন? এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে তিনি মন্তব্য করেণ।
এদিকে নিয়োগ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুটি পদে নিয়োগের জন্য গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর দৈনিক জনকণ্ঠ ও পূর্বাঞ্চল পত্রিকায় বিজ্ঞাপ্তি দেয়া হয়।
অফিস সহায়ক পদে ৯ জন ও নিরাপত্তা কর্মী পদে ১১ জন প্রার্থী আবেদন করে।
বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক বিজন কুমার মন্ডল বলেন,দু’টি পদে ২৩ জন প্রার্থী আবেদন করে। ১৭ নভেঃ-২৩ তারিখে প্রার্থীদের চিঠি দেয়া হয়। ২৪ নভেঃ পরীক্ষায় ৯ প্রার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে অফিস সহায়ক পদে মলয় ও নিরাপত্তা কর্মী পদে হিরণ নিয়োগ পান। নিয়োগে কোন অনিয়ম ও অর্থ বানিজ্য হয়নি।
অনিয়ম ও জালিয়াতি নিয়োগ অস্বীকার করে ম্যানেজিং কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আওয়ামীলীগের সাবেক নেতা তুষার কান্তি মন্ডল জানান, যেতেতু আমার ছেলে প্রার্থী ছিল সে কারণে নিয়োগ বোর্ডে আমার থাকার সুযোগ হয়নি। হেনস্থা করতে প্রতিপক্ষরা এ ধরনের অভিযোগ করছেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA